ইতালিতে বাংলাদেশী তরুণী শশী’র আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৩:৪২,অপরাহ্ন ১৫ জুলাই ২০১৭ | সংবাদটি ৩০০ বার পঠিত
-
ইউরোপ প্রতিনিধি
প্রতি বছরের ন্যায়ে ইতালিতে বিভিন্ন দেশের ভাষা ভাষির লেখক ও সাংবাদিকদের লেখা নিয়ে “তরিনো ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেস্টিভাল” ২০১৭ পুরস্কার লাভ করেছেন বাংলাদেশী প্রবাসী তাহমিনা ইয়াসমিন শশী। ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেয়ার তরিনো ৩০ বছর ধরে সেরা লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। বিভিন্ন দেশের ভাষা ভাষির লেখক ও সাংবাদিকদের লেখা নিয়ে প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর প্রায় ৪,০০০ জন লেখক ও সাংবাদিক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। এ বছর বিভিন্ন দেশের ১০জন সেরা লেখককে “তরিনো ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেস্তিভাল” পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
-
প্রবাসী বাংলাদেশী তাহমিনা ইয়াসমিন শশী সেই ১০জন সেরা লেখকদেরই একজন হওয়ার গৌরব অর্জন লাভ করেছেন। শশীই একমাত্র বাংলাদেশী যিনি প্রথম বারের মত এই পুরস্কারে ভূষিত হলেন। শশী’র সাথে আরো যারা এই পুরস্কার পেয়েছেন তারা হলেনঃ মনিয়া ক্রিমালদি (ইতালী), মেলিতা ফারকোভিক (ক্রোয়েশিয়া), ফাতিমা ইযাহরা গারগুয়েক (মরক্কো), আইজা জুলিকা (লিথোনিয়া), রোকসানা লাজার (রোমানিয়া), সানতিনা লাজ্জারা (ইতালী), মারইয়ামা মারকেলা লিউক (আরজেন্টিনা), মালভিনা সিনানী (আলবেনিয়া) ও রোবার্তা ভিলা (ইতালী)।
শশী’র লেখার শিরোনাম ছিল ”ভ্রূণহত্যা”। আর ইতালিয়ান ভাষায় যার নাম ”তি পারলেরো দেলা লুনা” ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেয়ার তরিনো শশী’র লেখাটা বই আকারে বের করেছে। শশী’র গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার কার্তিকপুের। বর্তমানে তিনি ইতালি ভেনিস শহরে বসবাস করছেন। বর্তমানে শশী কমনি দি ভেনিস ইমিগ্রেশন অফিসে অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন। বাংলাদেশি অভিবাসি যারা লিবিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি এসেছেন তাদের জন্য অনুবাদক হিসেবে কাজ করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
-
চাকুরীর পাশাপাশি Università Cattolica del Sacro Cuore তে সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করছেন। ছোটবেলা থেকে লেখালেখি করতেন শশী। তার লেখা কবিতা ও ফিচার জনকন্ঠ, যুগান্তর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। শশী ইতালির দৈনিক প্রবাসে প্রতিদিন সহ স্বদেশ ও বিদেশ বিভিন্ন পত্রিকায় উপসম্পাদকীয়তে লেখালেখি করেন।
তাছাড়া, তিনি বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার সাথেও জড়িত আছেন।এছাড়া বাংলাদেশে প্রবাস মেলা পত্রিকার তিনি ইতালী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে চান এক ভিন্ন রুপে। শুধু তাই নয় তিনি চান ইটালি থেকে পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে যেতে এবং ইতালি থেকে শেখা নতুন বিষয় নিজের দেশকে উপহার দিতে।