যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের এটি হচ্ছে পঞ্চম ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা-২০১৭’ এবং অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টার অডিটোরিয়ামে।প্রথম থেকে চতুর্থ ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও স্মারক বক্তৃতা’ সফল হবার পর এবার পঞ্চম সম্মেলন। ‘বঙ্গবন্ধু’র ওপর বিশেষজ্ঞদের একক বক্তৃতা সুধীমহলে যথেষ্ঠ প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। সেই আলোকে এটি অনুষ্ঠিত হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এবং বিস্তারিত প্রস্তুতি চলছে’-জানান সংগঠনের সেক্রেটারি শিতাংশু গুহ।
উল্লেখ্য যে, ক্লাবসনম-এ অনুষ্ঠিত প্রথম অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা ছিলেন প্রফেসর মুনতাসির মামুন। জ্যাকসন হাইটসের পালকি সেন্টারে দ্বিতীয় সম্মেলনে স্মারক বক্তা ছিলেন সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর। তৃতীয় ও চতুর্থ সম্মেলনে স্মারক বক্তা ছিলেন যথাক্রমে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লে:কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহীর বীরপ্রতিক এবং টিভি ব্যক্তিত্ব, কলামিষ্ট বেলাল বেগ। হোস্ট সংগঠনের সভাপতি ড. নূরন্নবী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন। এই সামান্য সময়ের মধ্যে তিনি বাঙালীদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেন। একজন মানুষের কাছে, বাঙালীর আর কি চাই? আমরা নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসে যে কথা বলতে পারছি, তাও তারই জন্যে, তিনি আমাদের একটি সবুজ পাসপোর্ট দিয়েছিলেন বলেই? বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইগুলো এখন প্রকাশিত হয়েছে। জাতির জনককে জানতে এই বইগুলো পড়ার জন্যে আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি।’
হোস্ট সংগঠনের সেক্রেটারি শিতাংশু গুহ এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ করেন, ‘শ্রেষ্ট বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিন্দুকেরা বারবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইলেও ইতিহাসের পাতায় তিনি চিরভাস্মর থাকবেন। বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতায় আমরা জাতির জনককে জানতে চেষ্টা করি।’ ‘এবারের বক্তা ড. নজরুল নিশ্চয় আমাদের অনেক নুতন তথ্য দেবেন। শ্রোতারা গভীর মনোনিবেশ সহকারে তার কথা শুনবেন।’সবার সহযোগিতায় এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা উল্লেখ করেন।
‘বঙ্গবন্ধু যত শক্তিশালী হবে, বাংলাদেশ তত এগিয়ে যাবে; জামাত-হেফাজত বা স্বাধীনতা বিরোধীরা দুর্বল হবে, যুদ্বাপরাধীদের বিচারদ্রুত সম্পন্ন হবে, বাঙালি উন্নত জাতিতে পরিনত হবে। এ লক্ষ্যেই দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।’