অবৈধ অভিবাসী অভিযানে মালয়েশিয়ায় বহু বাংলাদেশি আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৫:১৩,অপরাহ্ন ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | সংবাদটি ১৯৪৩ বার পঠিত
ঢাকা:
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী আটকের লক্ষ্যে পরিচালিতো অভিযানে বাংলাদেশিসহ প্রায় চার শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন। জানা যায়, অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশিরা ছিলেন। রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং’র জালান আলোতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে দফায় দফায় রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চলে। অভিযানটি পরিচালনা করেন দেশটির ইমিগ্রেশন, ডিবিকেএল, পুলিশ, জেনারেল অপারেশন সোর্স ও মালয়েশিয়ার কোম্পানি কমিশনের সমন্বয়ে কয়েকটি সংস্থার মোট ২৬৭ জন কর্মকর্তা। মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোস্তফার আলি জানিয়েছেন, আটককৃতরা বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ওমান ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। যৌথ এ অভিযানের সময় ৪৪০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৮৯ জন পুরুষ, ৪৭ জন নারী ও ৪ জন শিশু। আবারো পিছিয়ে যাচ্ছে মালেশিয়ায়কর্মী নিয়োগ শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র না পাওয়ায় আবারও সরকারিভাবে মালেশিয়ায় কর্মী নিয়োগ পিছিয়ে যাচ্ছে। একই কারণ দেখিয়ে মালেশিয়া সরকার ২৩৯ জনের একটি তালিকা ফেরত পাঠিয়েছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো(বিএমইটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর সত্যতা স্বীকার করেন খোদ বিএমইটির মহাপরিচালক শামছুন নাহার। তিনি জানান, ২৩৯ জনের তথ্যগত কিছু ভুল থাকায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে আমাদের প্রথম ফ্লাইট মালেশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবে। সবশেষ গত ২৭ মার্চ ৩০০ জনের প্রথম ফ্লাইটটি আকাশে উড়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তখন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এদের পাঠানো হবে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক ড. নূরুল ইসলাম জানান, সময় মতো ভিসা না আসায় প্রথম ফ্লাইটের কর্মীদের মালেশিয়া যাওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, মালেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। লটারিতে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী কর্মীদের থেকে সাত হাজার ৪২২ জনের সঠিক তথ্য সম্বলিত একটি তালিকা মালয়েশিয়া সরকারের নিকট পাঠানো হয়। ভিসা আসলেই তাদের চলে যাওয়ার কথা ছিল। পরে চূড়ান্ত লটারিতে বিজয়ী ১০ হাজার জনের তালিকা পাঠানোর কথা রয়েছে। গত ২৪ মার্চ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংসস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মালেশিয়ায় শ্রমিকরা যাবে। তথ্যে ভুল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা মালয়েশিয়া মানবিকভাবে দেখেছে। শ্রমিকদের নাম, পিতার নাম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্যে ভুল হয়েছে। তা সংশোধনের চেষ্টা চলছে।’ দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর ২২ অক্টোবর সরকারি পর্যায়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। প্রথম ধাপে কৃষি খাতে ১০ হাজার শ্রমিক নেয়ার চাহিদাপত্র পাঠায় মালয়েশিয়া সরকার। সরকারিভাবে শ্রমিকদের মালয়েশিয়া যেতে জনপ্রতি মোট খরচ হবে ৪০ হাজার টাকা।