- অভিবাসন
- সমাধান যাত্রা!
সমাধান যাত্রা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৭:১২,অপরাহ্ন ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ | সংবাদটি ৫৯৬ বার পঠিত
রেজাউল করিম স্বপন ( সাবেক ছাত্রনেতা )
এটি ঢাকা উত্তরের মেয়র মৃত আনিসুল হকের একটি জনপ্রিয় স্লোগান ছিল । বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি ও আজ বেশকিছু সমস্যার আবর্তে নিমজ্জিত ।
দরকার সমাধান যাত্রা । স্বাধীন বাংলাদেশে ৭৩ এর সাধারণ নির্বাচনের পর বছর দেড়েক না যেতেই বঙ্গবন্ধু সরকারকে নির্মমভাবে হটিয়ে ডাকাতরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে । অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ৯০ এ ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা উদ্ধার করি কিন্তু সে সময়ের বিজয়ী সরকার তিন জোটের রূপরেখা ভঙ্গ করে স্বৈরাচারের দোসর ও কালোটাকার মালিকদের সাথে আঁতাত করে মূলত তিন জোটের রূপরেখার পিঠেই ছুরিকাঘাত করে !
কেবল তাই নয় বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে আবার মাগুরা মার্কা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে । শুরু হয় নতুন আন্দোলন ।
এ কয়টি কথা বলার কারণ হচ্ছে সমস্যাটা চিহ্নিত করা । কথিত আছে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে একটি দল শুধু নমিনেশন ও মন্ত্রিত্ব বিক্রি করে প্রায় হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করে ।
বিষয়টা দাঁড়ালো রাজনীতি পুরোপুরি দুর্বৃত্তদের হাতে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে । এর ই ধারাবাহিকতায় গত ৩ দশকে আজ অর্থনীতি এবং রাজনীতি পুরোই দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে । আজ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই কিন্তু কোন অবস্থাতেই বড় রাজনৈতিক দলগুলো একমতে আসতে পারছে না ।
এ সংকট থেকে উত্তরণে কয়েকটি প্রস্তাব ।
মনোনয়ন বাণিজ্য রুখতে মনোনয়নের ক্ষমতা জনগণেরে হাতে নিয়ে যাওয়া । যেমন
১। আমেরিকার মত প্রাইমারী করে ,অর্থাৎ প্রত্যেক নাগরিকের স্মার্টকার্ডে A,B,C,D আওয়ামী , বি এন পি , কমিউনিস্ট এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট চিহ্নিত করণ । জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনের আগে এসব ভোটার রা নিজদলের প্রার্থী মনোনয়নে আরেকটি ভোট দিবে নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে । যে কোন দলের রেজিস্টার্ড ভোটার তার দলের প্রার্থী মনোনয়নে প্রার্থী হতে পারবে । সবাই কেবল নিজ দলের প্রার্থী নির্বাচনে ভোট দিবে ।
অর্থাৎ A চিহ্নিত ভোটার রা আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কায় যাকে প্রার্থী দেখতে চায় তাকে নির্বাচিত করবে । B ভোটার রা বি এন পির প্রার্থী বাচাই এ ভোট দিবে ।
স্মার্ট কার্ডের তথ্যের সাথে কেবল দলীয় সমর্থন টা যোগ করতে হবে ।
২। রাষ্ট্রপতি এবং সংসদের ক্ষমতায় কিছুটা ভারসাম্য আনায়ন ।
এ সরকারকে আগামী নির্বাচনের আগে আরেকবার সংবিধান সংশোধন করতে হবে। বিচারপতিদের অপসারণ সহ বর্তমান সাংবিধানিক শূন্যতার দিক গুলো পূরণ
করতে একত্রে তা করা যেতে পারে ।
৩। নির্বাচন কালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠিত হবে ৩০ সদস্যের । সংসদে ৩০০ আসনের সংখ্যানুপাতে মন্ত্রীপরিষদ ভাগাভাগি হবে । বিরোধীদল স্বরাষ্ট্র পাবে । বর্তমানে যারা সংসদে আছে এ অনুপাতে নতুন করে নির্বাচনকালীন সরকার হবে ।
৪। প্রতি ৫ বছর পর একটি নির্দিষ্ট তারিখে সংসদ নির্বাচনের তারিখ স্থির করণ । যেমন প্রতি ৫ বছর পর জানুয়ারির ১৩ তারিখের ৯০ পূর্বের যে কোনদিন জাতীয় নির্বাচন হবে ।
৫। দুর্নীতির কোন মামলায় চার্জ হলে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা ।
৬।দেশের সংবিধান মেনে সকলে রাজনীতি করতে পারবে কেবল আদালতে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরবর্তী ২ প্রজন্ম বাদ যাবে ।
এ প্রস্তাবের ১ , ৩ ও ৪ নম্বর প্রস্তাবকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সংযুক্তি করন ।
আর সময় নেই প্রতি ৫ বছর পর নির্বাচন আসলে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় জাতিকে এর থেকে মুক্তি দিতে হবে।
রেজাউল করিম স্বপন : ওরলান্ডো ( ফ্লোরিডা)