সলিসিটর হিসেবে নিষিদ্ধ হলেন সাবেক মেয়র লুৎফর রহমান: গুনতে হবে ট্রাইব্যুনালের কস্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১৩:২৭,অপরাহ্ন ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ | সংবাদটি ৮৪৮ বার পঠিত
-
এমএ জামান, লন্ডন:
নির্বাচনে সাময়িক নিষিদ্ধ লন্ডনের টাওয়ার হামলেটস কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান এবার সলিসিটর পেশায়ও নিষিদ্ধ হলেন। দ্যা ল সোসাইটি প্রকাশিত গেজেটে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জানা যায় সলিসিটর ডিসিপ্লিনারি ট্রাইব্যুনালে তিন দিনের শুনানি শেষে গত বুধবার ট্রাইব্যুনাল সাবেক মেয়রকে সলিসিটর হিসাবে প্র্যাক্টিসের অযোগ্য ঘোষণা করে। সাথে সাথে ট্রাইব্যুনালের খরচ বাবদ ৮৬ হাজার ৪ শ পাউন্ড পরিশোধের আদেশ প্রদান করে মিঃ রহমানকে।
-
সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান ১৯৯৩ সালে আইন পেশায় জড়িত হন। ২০১০ সালে টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রথম নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হবার আগে প্রায় ৮ বছর তিনি ইস্ট লন্ডনের ম্যাককারম্যাকস সলিসিটর ফার্মের পার্টনার ছিলেন। দুর্নীতি ও বেআইনী বিভিন্ন কর্মকান্ডের অভিযোগে ইলেকশন কোর্ট তাকে ২০১৫ সালে নির্বাহী মেয়রের পদ থেকে অপসারন করে। উত্থাপিত অভিযোগগুলো বিবেচনায় নিয়ে লুৎফুর রহমানের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সেই সময় দ্যা সলিসিটর রেগুলেশন অথোরিটির (এসআরএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল কোর্ট। এই রায়ের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে দ্যা সলিসিটর রেগুলেশন অথোরিটি সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানকে শপথ অনুযায়ী আইনের সেবক হিসেবে ভুমিকা পালনে ব্যর্থতাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
এসআরএ-এর অভিযোগের বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান রিভিউ আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল সলিসিটর ডিসিপ্লিনারি ট্রাইব্যুনাল। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এসআরএ- এর পক্ষ থেকে উত্থাপিত সব অভিযোগের জন্য লুৎফুর রহমানকে দায়ী করা হয়।
শুনানিতে লুৎফুর রহমান নিজে বা তার কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে যে রায়ের উপর ভিত্তি করে পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞ লুৎফুর রহমানের আইন পেশা বা সলিসিটরের লাইসেন্স অপসারন করা হয়েছে। ইলেকশন কোর্টের সেই মূল রায়টি বিচার বিভাগীয় রিভিউর অপেক্ষায় আছে।
মেয়র রহমান ২০০২ সালে টাওয়ার হামলেেটের স্পিটা ফিল্ড ওয়ার্ডে কাউন্সিলার নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে কাউন্সিল লিডার নির্বাচিত হন এবং ২০১০ সালের ইলেকশনে নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সালে অপসারণের আগ পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে মিঃ রহমানের সাথে মুুটো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।