- আমেরিকা
- নিউ ইয়র্কে বিএমএমসিসি ইসলামী স্কুলের গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন
নিউ ইয়র্কে বিএমএমসিসি ইসলামী স্কুলের গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:১৫:১৭,অপরাহ্ন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ১২৪ বার পঠিত
- রশীদ আহমদঃ
নিউইর্য়কের ব্রুকলীনের সর্ববৃহৎ বায়তুল মা’মুর মসজিদ এন্ড কমাউনিটি সেন্টারের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুল এর সামার প্রোগ্রাম”এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী গত ৩রা সেপ্টেম্বর সোমবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিষ্ঠানের হল রুমে অনুষ্ঠিত উক্ত গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুলের প্রিন্সিপাল মাওলানা রশীদ আহমদ।ইসলামিক স্কুলের শিক্ষক মাওলানা আবদুল মান্নানের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।সিনিয়র শিক্ষক মমতাজুল করীম ও ফয়জুল্লাহ মাসুম এর যৌথ উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্ব পূর্ণ বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ আবু আহমদ নুরুজ্জামান।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমএমসিসির প্রেসিডেন্ট শিক্ষাবিদ আহমদ আবু উবায়দা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএমএমসিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ ফয়সল, সেক্রেটারী জেনারেল মোশাররাফুল মাওলা সুজন,বায়তুন নূর মসজিদ এর ইমাম ও খতীব মাওলানা বেলাল হোসাইন। অভিভাবকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা হাবীবুর রহমান ও সায়রা কারীম।শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সুফিয়া খানম ইমু।
ইসলামিক স্কুলের শিক্ষক প্রফেসর আবুল বাশার মুহাম্মাদ সামছুদ্দীন,হাফেজ মাওলানা কামীল আহমদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জনাব আবদুস সাত্তার, স্কুলের মহিলা শিক্ষকা হাফেজা কারীমা,আলেয়া বেগম সুমি,কানিজ ফাতিমা ও জেসমীন আক্তার।এছাড়াও হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ মাওলানা বুরহান উদ্দীন,হাফেজ রাসেল আহমদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে ক্লাস ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতিযোগীতাও অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সফলতার সাথে সামার প্রোগ্রাম শেষ করায় ক্লাস ভিত্তিক প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সনদও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন। এবারের ২২৯ জন ছাত্র ছাত্রী সামার সেশনে অংশ গ্রহণ করেছিল।পাঠ দান করেছেন ১৩ জন শিক্ষক ও ২জন ।
প্রধান অতিথি আবু আহমদ নুরুজ্জামান বলেন, প্রবাসে ইসলামকে বুঝা বা শেখার জন্য আমাদের সন্তানদের জন্য ইসলামিক স্কুলের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে পারিবারিকভাবেও কোরআন ও হাদিসের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে। সামার স্কুল থেকে শিক্ষা নেয়ার পর ইসলামের মৌলিক বিষয়ের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের খাওয়ারের ব্যপারে হালাল হারাম শিখানো হয়েছে তা তাদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। মা-বাবাদেরও হারাম হালালের জ্ঞান থাকতে হবে, সে অনুযায়ী বাচ্চাদের খাবার পরিবেশন হবে।তিনি আরো বলেন,নতুন প্রজন্মকে আরো বেশী বেশী কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে।কেননা ঐ কুরআনিক জ্ঞানই পারে মানুষকে সঠিক ও সত্য পথের পথ দেখাতে।
প্রিন্সিপাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছরই ভুর্তুকী দিয়ে ইসলামিক স্কুল পরিচালনা করতে হয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, যেন আগামী প্রজন্ম আমেরিকায় বসেও ইসলামের আলোকে জীবন গঠন করতে পারে। তিনি অভিবাকদের উদ্দেশ্য বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে নিয়ে আসা এবং ক্লাস শেষে সঠিক সময়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন এবং বাচ্চাদের হোমওয়ার্কে ঠিকমতো দেখভাল করা তাতে স্কুলের শৃংখলা রক্ষা হয় সাথে সাথে মানোন্নয়ন বৃদ্ধি পায়।
তিনি জানান, চলতি সেপ্টেম্বর থেকে অপর প্রোগ্রাম উইকেন্ড স্কুল শুরু হচ্ছে। ইসলাম শিক্ষার জন্য উইকেন্ড স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার আহবান জানান তিনি।
অভিভাবকরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, আমাদের সন্তানদের শিশু বয়স থেকে ইসলাম শিক্ষা জরুরী। বাসার পাশে ইসলামিক স্কুল হওয়ায় আমাদের জন্য অনেক সহজ। সামার স্কুল নিয়ে তারা আরো বেশী প্রচারের গুরুত্তারোপ করেন, যাতে সামারে মুসলিম কমিউনিটির সকল শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারে।উল্লেখ্য যে উক্ত অনুষ্ঠানে শতাধিক অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।পরিশেষে স্কুল কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে সবাইকে আপ্যায়ন করানো হয়।