আমাদের দেশে অস্ত্র নিয়ে খোলা হাতে গুলিবর্ষণের ঘটনা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৬:২৪,অপরাহ্ন ১৫ মার্চ ২০১৯ | সংবাদটি ৪২১ বার পঠিত
কবার ভাবেন আমাদের দেশের কোনায় কোনায় সিসিটিভি লাগানো নেই,অনেক রাস্তায় রাতে লাইট থাকে না।গ্রামাঞ্চল পুরো বিদ্যুতের আওতাভুক্ত এখনও নয় তারপরও আমাদের দেশে অস্ত্র নিয়ে খোলা হাতে গুলিবর্ষণের ঘটনা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
কারণ কি?
সামাজিক মূল্যবোধ,এটা এখনও বেঁচে আছে বলে অপরাধ করলেও দ্রুত ধরা পড়তে হয়।কিংবা অপরাধপ্রবণতা এই কারণেই হয়ত কম বা কেউ সাহস পায় না খুব দ্রুত কিছু ঘটিয়ে ফেলার।আমাদের দেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাস আছে কিন্তু তাদের পুজো তাদের অনুষ্ঠানে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগ দেয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। দুই একটা হামলা যে হয় না আকস্মিকভাবে সেটাও ঠিক নয় তবে অপরাধী আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারে না।আমরা কখনও ঘোষণা দেই না,অপরাধী মানসিকভাবে অসুস্থ। আমরা অপরাধীদের ছাড় দেই না।
আমাদের দেশে ডাটাবেইজ এখনও শক্ত হয় নাই,এখনও মানুষ আছে যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই।ইউরোপ,আমেরিকার মত নাম ও জন্মসাল দিয়ে চিহ্নিত করা যায় না এখনও সবাইকে তাও আমাদের দেশের অপরাধীরা নিজের গোপন করে রাখতে পারেনা।
চৌকস পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমাদের দেশের সম্পদ কিন্তু তা আমরা বুঝতে পারি না।তবে জাতিসংঘের মিশনগুলোতে এখনও শান্তিরক্ষায় আমাদের দেশ এগিয়ে আছে।কিন্তু নিজের মুখে নিজের প্রশাসনের সুনাম খুব কম শুনতে পাবেন।খুব বেশি যে কথা শোনা যায় সেটা হল,পুলিশ ঘুষখোর। আদৌ ঘুষ চেয়েছে কিনা সেটা না দেখেই সকলেই সুর মিলায় এই কথার সাথে।
শান্তির দেশের তালিকা করলে প্রথম দশের ভিতরে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান তাও তারা নিরাপত্তা দিতে পারে নাই মসজিদের।একজন ব্যক্তি খুব হালকা মেজাজে গাড়ি পার্ক করে অস্ত্র বাছাই করে মানুষ মারার ঠান্ডা পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করে আবার গান শুনতে শুনতে এবং গুলি করতে করতে চলে যেতে পারে।এটা আমাদের দেশে কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারবে কি?
কিন্তু আমাদের দেশে চুন থেকে পান খসলেই বিশ্বের তাবৎ মিডিয়া তা নিয়ে হৈ হোল্লর শুরু করে দিত কারণ আমরা গরীব দেশ।আমাদের বিরোধী দল বলতে কিছু নেই,আছে কিছু ক্ষমতায় যাবার চিন্তায় ব্যস্ত দালাল রাজনীতিবিদ যারা নিজের দেশের বদনাম নিয়ে ধর্ণা দেয় বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে,সংস্থার কাছে।
আমাদের দেশে ভিন্ন দেশের খেলোয়াড় আসলে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে থাকি এরপরও বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান আবার নিয়মমাফিক সেইসব পরীক্ষা করে তারপর সবুজ সংকেত দেয়।কিন্তু আমাদের দেশের খেলোয়াড় যখন পৃথিবীর অন্যতম শান্তির দেশ হিসেবে তালিকায় নাম থাকা দেশে খেলতে গেল তাদের প্রতি সেই দেশের সরকারের এতো উদাসীনতা কেন?আমরা একইভাবে নিরাপত্তা পাই না কেন?সেইক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই উদাসীনতা রয়েছে।বিসিবি বা বাফুফে বা উপযুক্ত সংস্থা দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করছে।আজই হয়ত পুরো ক্রিকেট টিমকেই আমাদের হারাতে হতো?
সব প্রশ্নের উত্তর আসলে একটি কথাতেই,নিজেকে নিজের মূল্যায়ন করা জানতে হবে।বিসিবি আশাকরি নিউজিল্যান্ডে বা পৃথিবীর যে কোন দেশেই ট্যুরে দল পাঠাতে হলে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই পাঠাবে।
বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সম্পদ আমাদের আছে।কিন্তু আগে আমাদের নিজেদের এইকথা মনে প্রানে বিশ্বাস করতে হবে।
অবশেষে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস চার্চের ঘটে যাওয়া সকল নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
প্রবাসে সকলে নিরাপদে থাকুন সেই প্রার্থনা করি।