পেয়াজের পোষ্ট মর্টেম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২১:১২,অপরাহ্ন ১৬ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৬৭ বার পঠিত
জুয়েল সাদত
বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার মুল্য অস্বাভাবিক। কোথাও ১৮০/২০০/২২০/২৪০ পর্যন্ত। বাংলাদেশে পেয়াজ পর্যাপ্ত উ্যপাদন হয় না। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বার্ষিক ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। আমদানি করা হয় বার্ষিক ১০ লাখ মেট্রিক টন। পেয়াজ আমদানি করতে হয়, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওযায় রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দেশীয় পেয়াজ বাজারে আসতে ২০/৩০ দিন লাগবে । আমদানি করা বেশীর ভাগ পেয়াজ ভারত থেকেই আসে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ থেকেও আমদানি করা হয়ে থাকে। যেহেতু ভারত খুব কাছে তাই ভারত থেকে আমদানি করলেই বাজারে মুল্য কম পড়ে। ভারতে এবার পেয়াজ কম উ্যপাদন হয়েছে সম্ভবত, এছাড়া ভারত বাংলাদেশে রপ্তানী করছে না। যা করেছে তা সামান্য।। ভারতের আভ্যন্তরিন কিছু সমস্যার কারনে তারা রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে, যা আকস্মিক। ® বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি ঘোষ্টি আগে থেকে ব্যবস্থা না নেয়াতে সরকারকে বিব্রত উপায়ে ফেলেছে। যারা এই কাজটি করেছে তারা এত সুক্ক ভাবে করেছে যে সরকার পুরোটাই বেকায়দায়। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অভ্যন্তরে যে বৃহদ অপশক্তি রয়েছে তারা পুরোটাই মন্ত্রনালয় মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে বেকায়দায় ফেলেছে। তারা আগাম জানা সত্বেও বা বাড়তি বিকল্প রাস্তা রাখে নি। সরকার নানা উদ্যেগ নিয়েছে, ২/১ দিনের মাঝে পেয়াজ ৫০/৬০ টাকায় ফিরে আসবে। শুল্কমুক্ত করা হচ্ছে, জাহাজ,প্লেনে পেয়াজ আসছে, আগামী দু একদিন ২২০/২৫০ থাকবেই। সেই সাথে বাজারে কম থাকায় যার যত ইচ্ছা দাম চাচ্ছে। বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমান আদালত ফাইন করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার সুক্ষ চেষ্টায় সফল এক গোষ্টি, দুদিনের ব্যবধানে দুটো ট্রেন দুর্ঘটনা অনেক ইঙ্গিত জানাচ্ছে।। যে সরকার বিশ্ববাংককে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে ৬.৫০ কিলো মিটারের পদ্মা সেতু করতে পারে,যে সরকার ১০ কিলো মিটারের দেশের সর্ববৃহদ সেতু বানাতে পারে। যে সরকার ১২ বছরে ১০ টি বড় বিমান কিনে বিমানে লাভ জনক করতে পারে তারা বিনামূল্যে পেয়াজও খাওয়াতে পারবে।। © সরকার প্রধান কে বিব্রত করতে বিরোধীরা যেমন আছেন,জামায়াত যেমন আছেন, আওয়ামি লীগের ভেতরের দুর্নিতীবাজরা আছেন। আছেন সর্ব দলীয় দুর্নিতীবাজরা। তিন বৃহদ অপশক্তিকে মোকাবেলা করছেন শেখ হাসিনা। কিছু ধারনা দিলাম, আজকের লেখার বিষয় অন্য টা, সেটা হল, ভারত বিরোধিতা যারা সকাল বিকাল করেন তাদের জন্য। সামান্য পেঁয়াজের ঠেলায় বাংলাদেশ বেশামাল। ভারতের সাথে সরকারের সখ্যতা অনেককে পীড়া দেয়। ফেসবুকে অনেকে বলেন বাংলাদেশ ভারত হয়ে গেছে। ভারতের লোক কাজ করে বাংলাদেশে। আমরা দেড় কোটি প্রবাসীরা বিদেশে রোজী করে সব টাকা দেশে পাঠাই। বাংলাদেশের মাল্টিনেশনাল বা বেসরকারী কোম্পানি গুলিতে ভারতীয়রা কাজ করছে, সেটা আইনি ভাবে তারা করতে পারে -সেই টাকা তারা ভারতেই পাঠাবে। বেকুবরা এই সহজ হিসাব বুজে না। আমরা বিদেশের আয়ের সব টাকা দেশে পাঠাই আবার ২ শতাংশ বোনাস ও পাই। @ পেঁয়াজের ঠেলায় খাওয়া দাওয়া বন্ধের পর্যায়ে। ভারত যদি বলে বাংলাদেশ থেকে কেউ চিকিৎসা নিতে যেতে পারবেন না, তাহলে সেই ঠেলায় কজন বাঁচবেন।। অনেকে ফেসবুকে পেঁয়াজের মুল্য লন্ডন আমেরিকার সাথে মেলাচ্ছেন, বেকুব কাকে বলে, পেয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ চলে। আমেরিকায় নুন্যতম মজুরী ঘন্টায় ৮/৯ ডলার, লন্ডনে ও ঘন্টায় (৮/৯ পাউন্ড) ( ৮৪.৫০ টাকা ১ ডলার সমপরিমাণ) তাহলে বাংলাদেশেও ঘন্টায় সে রকম দিতে হবে। কারন আমরা সেই বিচার করছি।।।। ভারত বিরোধিতা যারা করেন তাদের জন্য শুভ কামনা।। শেষ করছি এই বলে, আমদানির পাইপ লাইনে পেয়াজ পায়োরিটিতে, সরকার সব মাধ্যমে কাজ করছে ২/১দিনে পেয়াজ সহনীয় হবে।। ® ভারত অনেক বড় দেশ, প্রাদেশিক সরকার বিদ্যমান, ৫০ টা বাংলাদেশের মত ভারত। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কথা মানে না। তারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পেয়াজ নাও দিতে পারে। কম দিতে পারে সেখানে তারা তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী গত মাসে ভারতের শির্ষ ব্যবসায়ীদের বলেছিলেন, আপনারা পেয়াজ বাংলাদেশে না দিলে আগাম জানাবেন। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করতাম তার কথার পরদিন ১২০ ট্রাক পেয়াজ এসেছিল । জুয়েল সাদত – সম্পাদক,লেখক