আনোয়ার হোসেন মামুন, দোহ, কাতার: সাদামাটা একটি ঘর পুরোপুরি বদলে দিতে পারে মানানসই ও সুন্দর পর্দা। সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও রোদ থেকে বাঁচতে ঘরের আবরু রক্ষায় প্রয়োজন পর্দা। শুধু রোদের তীব্র আলো নয়, বাইরের ধুলাবালু ও ময়লা থেকে ঘরকে বাঁচায় পর্দা। তাই ঘরের সঙ্গে মানানসই পর্দা বাছাই করা খুবই জরুরি। কারণ বেমানান পর্দা ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর বদলে দৃষ্টিকটু করে তোলে। কাতারে এমনি নানা রঙয়ের পর্দার দোকান খুলে বসেছেন বাংলাদেশি রুহুল আমিন। কাতারে পর্দার দোকানের সফল ব্যবসায়ী তিনি। কাতার প্রবাসী রুহুল আমিন (৪৫) বাবার নাম মরহুম আমজাদ আলী। কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার বাকই ইউনিয়নে তার বাড়ি। রুহুল আমিনের দুই ছেলে দুই মেয়ে। পরিবারের আর্থিক অনটন দূর করার স্বপ্ন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের পারস্য উপসাগরের ছোট দেশ কাতারে শ্রমিকের চাকরি নিয়ে ১৯৮৮ সালে প্রবাসী জীবন শুরু করেন রুহুল আমিন। চার বছর বিভিন্ন কোম্পানিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি তিনি। অবশেষে তার স্পন্সরের সহযোগিতা ১৯৯৩ সালে কাতারের রাজধানী দোহা নাজমা শুক আল হারেজ মার্কেটে একটি দোকান নিয়ে শুরু করেন পর্দার ব্যবসা, বর্তমানে তার পাঁচটি পর্দার দোকান রয়েছে কাতারে। বর্তমানে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশসহ পাঁচটি পর্দার দোকানে মোট ২০০ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এখন আর আগের মতো অভাব অনটন নেই। বাংলাদেশের জন্মস্থান কুমিল্লা শহরে ও ঢাকা শহরেও তার রয়েছে অনেকগুলো বাড়ি। জন্মস্থান কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার মানুষকেও কাতারে এনে স্বাবলম্বী করেছেন রুহুল আমিন। ভাই, শালা, ভাতিজা, ভাগ্নেসহ রুহুল আমিন পরিবারেরই ১০০ সদস্য বর্তমানে কাতারে রয়েছেন। জানতে চাইলে রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকের কাতারে অনেক চাহিদা আছে। যদি বাংলাদেশ সরকার কাতারে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করে তাহলে আমাদের দেশের জন্য ভালো, দক্ষ শ্রমিকেরা মাসে ভালো বেতন পায়। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে পায় শ্রমিকরা। আর অদক্ষ শ্রমিকেরা মাসে বেতন পায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। রুহুল আমিন আরো বলেন, আমরা যারা কাতারে আছি। ব্যবসা করি বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই সবসময় দক্ষ শ্রমিক কাতারে আসুক। দক্ষ শ্রমিকদের ক্যাটাগরি হল, মেশন, কারপেন্টার, স্টিল ফিক্সার, টাইলস। যারা আছে এরা যদি কাতারে আসে তাহলে তারা বেতনটা একটু ভালো পাবে। যদি একজন লেবার পাঠানো হয় অন্তত দেশ থেকে তাদেরকে ছয় মাসের ট্রেনিং দিয়ে পাঠালে ভালো একটা বেতন পাবে। আর সেটা ডাবল হবে।