আমিরাতের নারী উদ্যোক্তা গুলশান আরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:৫৮,অপরাহ্ন ১৪ জুন ২০১৭ | সংবাদটি ৫৭৩৮ বার পঠিত
-
লুৎফুর রহমান
আরব আমিরাতে বাংলাদেশী ব্রান্ডের পোশাক নিয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন শরীয়তপুরের গুলশান আরা । তিনি একসময় স্বপ্ন দেখতেন অনেক মানুষ কাজ করবে তার প্রতিষ্ঠানে । বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে তুলবেন ব্যবসার মাধ্যমে। তার স্বপ্ন এখন হাতের নাগালে। আবুধাবি, দুবাই, শারজায় রয়েছে ‘আইদিন বুটিক’ নামে তার ১১টি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই উঠে আসতে হয়েছে তাকে কঠোর সংগ্রাম করে। সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে তিনি পেরেছেন।
গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে নেই বাংলাদেশী কোন ব্রান্ডের প্রতিনিধিত্ব। এ প্রত্যয়ে তার পথচলা জানালেন তিনি।
-
গুলশানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় সাহস তার স্বামী তারিক হোসাইন। তিনি এখন ভেনাস টেলিকম ঢাকায় সিটিওর দায়িত্বে আছেন। তাদের একমাত্র সন্তান আইদিন এর নামেই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে। গুলশান ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে বাংলাদেশে জি ফোর এস এর মানবসম্পদ বিভাগে যোগ দেন।
সেখান থেকে ২০১০ সালে পদোন্নতি করে তাকে দুবাইতে পাঠানো হয় ১৬টি দেশের মানবসম্পদ অফিসার হিসেবে। তিনবছর এ উচ্চ পদে চাকুরী করার পর মাথায় আসে নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ার। ২০১৩ সাল থেকে আরব আমিরাতের শারজায় প্রতিষ্ঠা করেন আইদিন বুটিক। ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশী শ্রমিক না থাকলেও শতাধিক ভিনদেশী কাজ করে। তারা বাংলাদেশী মালিক এর অধীনে কাজ করে খুশি। গ্রাহকের কাছে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কদর জানালেন তারা
প্রবাসে থাকা নারীরা স্রেফ ঘরবন্দি না থেকে উদ্যোগি হওয়া হওয়া দরকার। এ জন্য দরকার পরিবারের সহযোগিতা। এমনটি জানালেন গুলশান আরা।
-
আমিরাতের পর মধ্যপ্রাচ্য বাজারে খুব শীঘ্রই নামছে আইদিন বুটিক। তারপর ইউরোপে যাত্রা করবে এটি। দেশ দেশান্তরে তারা নিজেদের সেবায় উড়াতে চায় লাল সবুজের পতাকা।