কাবা শরিফ নির্মাণ ও সংস্কারের ইতিহাস
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০১:০৬,অপরাহ্ন ২৭ মে ২০১৮ | সংবাদটি ৪৭৮০ বার পঠিত
প্রবাসের নিউজ ইসলাম ডেস্ক :
পবিত্র কাবা শরিফ পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার জীবন্ত নিদর্শন। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই আল্লাহ তায়ালা কাবাকে তাঁর মনোনীত বান্দাদের মিলনমেলা হিসেবে কবুল করেছেন। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি এ কাবাকে কেন্দ্র করেই। হাদিসের ভাষ্য মতে, কাবার নিচের অংশটুকু পৃথিবীর প্রথম জমিন। বিশাল সাগরের মাঝে এর সৃষ্টি। ধীরে ধীরে এর চারপাশ ভরাট হতে থাকে। সৃষ্টি হয় একটি বিশাল মহাদেশের। এক মহাদেশ থেকেই সৃষ্টি হয় সাত মহাদেশের। মক্কা ও কাবার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ইব্রাহিম (আ.)-এর পদচিহ্ন-স্মৃতি। বর্তমান আহলে কিতাব (আসমানি ধর্মগ্রন্থপ্রাপ্ত) ইহুদি ও নাসারাদের নবীরা তাঁরই সুপুত্র ইসহাক (আ.)-এর বংশোদ্ভূত হওয়ায় কাবার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য তাদের কাছেও সমানভাবে সমাদৃত।
ইসলামের দৃষ্টিতে কাবা শরিফের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য
কাবার ভিত্তিপ্রস্তর হয়েছে শিরকমুক্ত নির্ভেজাল একত্ববাদের ওপর। আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করুন সে সময়কে যখন আমি ইব্রাহিমকে বাইতুল্লাহর স্থান নির্ধারণ করে বলেছিলাম যে আমার সঙ্গে কাউকে শরিক করো না। ‘ (সুরা হজ, ২৬) এখলাস ও একনিষ্ঠতা এ নির্মাণের অন্যতম উপকরণ ছিল। আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করো, যখন ইব্রাহিম ও ইসমাইল কাবাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিল। তারা দোয়া করেছিল : হে আমাদের রব! (এ কাজ) আপনি আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন। ‘ (সুরা বাকারা, ১২৭) কাবা শরিফ পৃথিবীর পবিত্রতম স্থান। আর অপবিত্র কারো সেখানে প্রবেশ করার অধিকার নেই। আল্লাহ বলেন, ‘আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। ‘ (সুরা বাকারা, ১২৫) কাবাগৃহের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- তা পৃথিবীর সর্বপ্রথম ও সুপ্রাচীন ঘর। কোরআনের ভাষায়, ‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা বাক্কায় অবস্থিত। ‘ (সুরা আলে ইমরান, ৯৬) কাবা শরিফ সমগ্র বিশ্বের স্তম্ভস্বরূপ, বিশ্বের ব্যবস্থাপনা ও বাইতুল্লাহর মধ্যে একটি নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কাবাকে মানুষের স্থিতিশীলতা ও স্থায়িত্বের কারণ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। ‘ (সুরা মায়েদা, ৯৭)
ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের বিধান দেওয়া হয়েছে কাবাকে কেন্দ্র করেই। নামাজ, হজ, কোরবানি, পশু জবাই ও মৃতের দাফন- সব কিছু আদায় করতে হয় কাবার দিকে ফিরেই। হাদিসের ভাষ্য মতে, কাবাগৃহে এক রাকাত নামাজ আদায় করলে এক লাখ রাকাতের সওয়াব পাওয়া যায়। কাবা শরিফের এ বিশেষ মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের কথা বিবেচনা করে ইসলাম কাবার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যে বসবে সে যেন কেবলাকে সামনে বা পেছনে না রাখে। ‘ (মুসলিম)।
কাবা শরিফের অবকাঠামো ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
সৌদি গেজেট মতে, কাবাগৃহের উচ্চতা পূর্ব দিক থেকে ১৪ মিটার। (অন্য একটি সূত্র মতে ১২.৮৪ মিটার)। পশ্চিম দিক থেকে ১২.১১ মিটার। উত্তর দিক থেকে ১১.২৮ মিটার। দক্ষিণ দিক থেকেও ১২.১১ মিটার। (সূত্র : সৌদি গেজেট, ৩ জানুয়ারি, ২০১০ ইং)
ভূমি থেকে কাবার দরজার উচ্চতা ২.৫ মিটার। দরজার দৈর্ঘ্য ৩.০৬ ও প্রস্থ ১.৬৮ মিটার। বর্তমান দরজা বাদশা খালেদের উপহার, যা নির্মাণে প্রায় ২৮০ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে। এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.। কাবা শরিফের ভেতরের দেয়ালগুলো সবুজ ভেলভেটের পর্দা দিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলো প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর পরিবর্তন করা হয়। এর ছাদে ১২৭ সে.মি. লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটর রয়েছে, যা দিয়ে ভেতরে সূর্যের আলো প্রবেশ করে। এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। প্রতিবছর দুবার কাবা শরিফের ভেতরটা ধৌত করার সময় এ কাচ খোলা হয়। কাবার প্রথম ছাদ নির্মাতা- কুসাই, অতঃপর কোরাইশ। প্রথম গিলাফ পরিয়েছেন- তুব্বা আবুল আসাদ। প্রথম মূর্তি স্থাপন করেছেন- আমর বিন লুহাই। প্রথম গোসল দিয়েছেন- মুহাম্মদ (সা.), মক্কা বিজয়ের দিন। প্রথম আজান দিয়েছেন- বেলাল বিন রাবাহ। প্রথম মিনজানিক দিয়ে হামলা করেছেন হুসাইন, ইয়াজিদের নির্দেশে।
কাবা শরিফ নির্মাণ ও সংস্কারের ইতিহাস
ফেরেশতাদের নির্মাণ : কাবা শরিফের ঠিক ওপরে ঊর্ধ্ব আকাশে ‘বায়তুল মামুরে’ ফেরেশতারা অনেক আগে থেকে তওয়াফ করে আসছিলেন। আল্লাহ তায়ালা জমিনের ফেরেশতাদের বললেন, ‘তোমরা বাইতুল মামুরের আদলে একটি ঘর নির্মাণ করো। ‘ তখন তাঁরা কাবা শরিফ নির্মাণ করেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তাঁদের কাবাগৃহ তওয়াফ করার নির্দেশ দিলেন।
আদম (আ.)-এর নির্মাণ : হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম ও হাওয়াকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে বলেন, ‘আমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করো। ‘ অতঃপর হজরত আদম (আ.) জিব্রাইল (আ.)-এর অঙ্কিত স্থানে খননকাজ শুরু করে দেন। আর হজরত হাওয়া (আ.) সেই মাটি বহন করে নিয়ে যেতেন। একপর্যায়ে সেখানে পানির দেখা মিলল। হঠাৎ কে যেন ডাক দিয়ে বলল, ‘হে আদম! যথেষ্ট হয়েছে। ‘ যখন তাঁরা এ ঘর নির্মাণ করেন তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁদের এ ঘর তওয়াফ করার নির্দেশ দিলেন। (দালায়েলুন্নবুয়্যাহ ও বেদায়া নেহায়া, দুর্বল সূত্র মতে)
বর্ণিত আছে, হজরত আদম (আ.) পাঁচটি পাহাড়ের পাথর দিয়ে কাবাগৃহ নির্মাণ করেছেন। জাবালে হেরা, জুদি, লুবনান, সিনাই ও জাইতুন। আরো বর্ণিত আছে, ফেরেশতারা এ পাথরগুলো সঞ্চয় করে দিতেন।
ইব্রাহিম ও ইসমাইল (আ.)-এর নির্মাণ : হজরত নূহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনে কাবাগৃহ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর আল্লাহর আদেশে (সুরা বাকারা, ১২৭) হজরত ইব্রাহিম ও ইসমাইল (আ.) কাবাগৃহ পুনর্নির্মাণ করেন। ইসমাইল (আ.) পাথর নিয়ে আসতেন এবং ইব্রাহিম (আ.) নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতেন। একপর্যায়ে কাবার দেয়াল যখন উঁচু হয়ে গেল তখন আল্লাহর কুদরতি ‘লিফট’ পাথর- ‘মাকামে ইব্রাহিমে’র মাধ্যমে তিনি নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। তখন কাবার কোনো ছাদ নির্মাণ করা হয়নি। তখন কাবার উচ্চতা ৯ হাত, দৈর্ঘ্য ৩০ হাত ও প্রস্থ ২২ হাত ছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সে নির্মাণের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় চার হাজার বছর।
কুরাইশদের কাবাগৃহ নির্মাণ : খোজায়া গোত্রের পতনের পর মক্কার শাসনভার গ্রহণ করেন কুরাইশ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কুসাই বিন কিলাব। কুরাইশরা ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩১ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয় পর্যন্ত মক্কার শাসন ও কাবার রক্ষণাবেক্ষণ করে। তিনি তওয়াফের জন্য কাবার আঙিনা চিত্রিত করেন, যা আজও বিদ্যমান। তিনিই কাবার ছায়ায় ‘দারুন নদওয়া’ বা পরামর্শ সভা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে কাবায় চূড়ান্তরূপে মূর্তি পূজা শুরু হয়।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার শাসক হলেন আবদুল মুত্তালিব। তিনিই প্রথম কাবায় স্বর্ণখচিত লৌহদরজা নির্মাণ করেন। তাঁর শাসনামলে ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহা ‘সানা’য় প্রতিষ্ঠিত ‘কুলাইস গির্জা’কে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের জন্য কাবা থেকে হজ স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে কাবা ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে বিরাট হস্তীবাহিনী পাঠায়। আল্লাহ তায়ালা তার সমুচিত জবাব দিয়ে দেন। যা পবিত্র কোরআনে সুরা ফিলে বিবৃত হয়েছে। রাসুল (সা.)-এর বয়স যখন ৩৫ বছর, তখন এক মহিলা কাবাগৃহে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর বন্যার কারণে কাবার গিলাফ ও দেয়াল ধ্বংস হয়ে যায়। তখন সবার সম্মতিক্রমে কাবাগৃহ পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এ নির্মাণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, কুরাইশরা কাবার উচ্চতা আরো ৯ হাত বৃদ্ধি করে মোট ১৮ হাত (৪৩২ সে.) নির্মাণ করেন এবং তাঁরাই প্রথম কাবার পূর্ণ ছাদ নির্মাণ করেন। আর কাবার পশ্চিম দরজা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পূর্ব দিকের দরজাটি একটু উঁচু করে দেওয়া হয়, যাতে অন্য কেউ প্রবেশ করতে না পারে। পুরো নির্মাণকাজ বৈধ অর্থে পরিচালিত হলেও অর্থকষ্টে তাঁরা উত্তর দিকে চিহ্ন রেখে ৭ হাত (৩ মিটার) বাদ দিয়ে দেন। এ ছাড়া তারা পানি নির্গমনের জন্য ‘মিজাব’ বা নালা তৈরি করেন।
আবদুল্লাহ বিন জুবাইর (রা.)-এর নির্মাণ : ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া (রা.)-এর শাসনামলে হুসাইন নামক এক ব্যক্তির মিনজানিক ব্যবহারের দরুন মতান্তরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মিনজানিক হামলার কারণে কাবা শরিফ পুড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ফলে তা পুনর্নির্মাণের তীব্র প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কুরাইশদের বাদ দেওয়া ‘হাতিম’কে তিনি কাবার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন। কাবাকে তিনি পুরো ইব্রাহিমি কাঠামোতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। গমন-বহির্গমনের সুবিধার্থে তিনি ‘মাতাফে’র সঙ্গে মিশিয়ে দুটি দরজা নির্মাণ করে সর্বসাধারণের জন্য অবমুক্ত করে দেন। ছাদের ভারসাম্য রক্ষার্থে তিনি কাবার অভ্যন্তরে তিনটি কাঠের স্তম্ভ স্থাপন করেন এবং কাবার উচ্চতা আরো ১০ হাত বৃদ্ধি করে দেন। ইবনে আসিরের বর্ণনা মতে, এ ঘটনা ছিল ৬৫ হিজরিতে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নির্মাণ : ৭৪ হিজরিতে আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের শাসনামলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আবদুল্লাহ বিন জুবাইর (রা.)-কে শহীদ করেন। ইবনে জুবাইরের কাবা নির্মাণকে হাজ্জাজ আত্মচিন্তাপ্রসূত জ্ঞান করে কাবাকে কুরাইশি কাঠামোতে ফিরিয়ে নিতে উৎসাহী হন। ইবনে মারওয়ানের সম্মতিক্রমে তিনি ইবনে জুবাইরের স্মৃতিচিহ্নকে ধুলায় ধূসরিত করে দেন। তিনি ইব্রাহিমি কাঠামো পরিবর্তন করে কাবাকে কুরাইশি ফ্রেমে বন্দি করেন। পরবর্তী সময়ে হজরত আয়েশা (রা.)-এর হাদিস শুনে ইবনে মারওয়ান খুবই অনুতপ্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। এরপর বাদশাহ হারুনুর রশিদ কাবাকে ইবনে জুবাইরের আদলে নির্মাণ করতে চাইলে ফেতনার আশঙ্কায় তৎকালীন আলেম সমাজ বিশেষত ইমাম মালেক (রহ.) তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
এর পর থেকে নির্মাণের পরিবর্তে কাবা শরিফের সংস্কারকাজ অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। ৯১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক কাবাগৃহে ব্যাপক সংস্কার করেন।
উসমানি খেলাফতকালে সংস্কার : ১০১৯ হিজরিতে কাবার দেয়াল বিদীর্ণ হয়ে গেলে বাদশাহ আহমদ খান তা সংস্কার করেন।
১০৩৯/১০৪০ হিজরি ও ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক এক ভয়াবহ বন্যায় কাবার পশ্চিম দিকের দরজাটি ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া কাবার দেয়ালে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বাদশাহ মুরাদ খান পাশার অর্থায়নে কাবাগৃহে ব্যাপক সংস্কার আনা হয়।
১২৭৬ হিজরিতে বাদশাহ আবদুল মজিদ একটি ‘মিজাব’ (নালা) হাদিয়া দেন, যাতে ২৩ কেজি (প্রায়) স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছিল।
সৌদি রাজবংশের সংস্কারকাজ : ১৩৬৩ হিজরিতে বাদশাহ আবদুল আজিজ কাবার দরজা পরিবর্তন করেন। ১৩৭৭ হিজরিতে বাদশাহ সৌদ কাবার ওপরের ছাদ ভেঙে পুনর্নির্মাণ ও নিচের ছাদ নবায়ন করেন। এমনকি দেয়ালগুলো নতুন করে মেরামত করেন। ১৩৯১ হিজরিতে বাদশাহ ফয়সাল কাবার দরজায় সংস্কার আনেন। ১৩৯৯ হিজরিতে বাদশাহ খালেদ প্রায় ২৮০ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ব্যবহার করে নতুন দরজা প্রতিস্থাপন করেন।
১৪১৬ হিজরিতে বাদশাহ ফাহদ কাবার বাইরের দেয়াল সংস্কার করেন। ১৪১৭ হিজরিতে তিনি কাবাগৃহের ছাদ, খুঁটি, দেয়ালসহ সব কিছু সংস্কার করে নতুন ধাঁচে ঢেলে সাজান। ১১-০১-১৪১৭ থেকে শুরু হয়ে ০২-০৭-১৪১৭ হিজরি মঙ্গলবার এ পবিত্র কাজের সমাপ্তি ঘটে। তাঁর এ নির্মাণকাজকে কাবার সর্বশেষ নির্মাণ বা সর্বশেষ সংস্কার হিসেবে অভিহিত করা হয়। (সুত্র : দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম )