প্রতিদিন ৩৫ হাজার মানুষের ফ্রি ইফতার আবুধাবি “শেখ জায়েদ মসজিদে”
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৬:১৩,অপরাহ্ন ৩০ মে ২০১৮ | সংবাদটি ১৬৮৭ বার পঠিত
প্রবাসে নিউজ ডেস্ক :
রমজানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইফতার। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে রোজাদারদের ইফতার করার মাধ্যমে আ ত্মতৃপ্তির মধ্য দিয়ে পূর্ণ হয় রোজা। অনেকে নিজের ঘরে বসে ইফতার করেন। আবার কেউ করেন মসজিদে। তবে বেশিরভাগ মুসলমানই একসঙ্গে মিলিত হয়ে মসজিদে বসে সম্প্রীতির ইফতার করতে ভালোবাসেন। এক সঙ্গে ইফতারের সওয়াবও অনেক। সূত্র গালফ নিউজ।
মসজিদে বসে জামাতের সঙ্গে ইফতার মুসলিম বিশ্বে আজকের নয়। সেই আদিকাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এভাবে ইফতার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। পাশাপাশি দেশভেদে বড়সড় ইফতার অয়োজনের মসজিদভিত্তিক ‘নীরব প্রতিযোগিতাও’ রয়েছে। আর এ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন মসজিদে গড়ে উঠেছে হাজার বছরের ইফতার ঐতিহ্যও। তবে ইফতার আয়োজন করে অল্প সময়েই গৌরবময় ঐতিহ্য অর্জন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিখ্যাত শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় ইফতার আয়োজন করা হয় এ মসজিদে। প্রতিদিন ৩৫ হাজারেরও বেশি রোজাদার বিনামূল্যে ইফতার করেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে করা আধুনিক সৌন্দর্যের এ মসজিদটিতে।
আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ১৯৯৬ সালে ৩০ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছিল বিশাল শেখ জায়েদ মসজিদ। এমনিতে ওই মসজিদে জুমার নামাজ বা ঈদের জামাতে প্রায় ৪২ হাজার মুসল্লির জায়গা হয়। সে হিসাবে প্রতিবছর রমজান এলে এত সংখ্যক রোজাদারেরই ইফতার আয়োজন করা হয় মসজিদটিতে। মসজিদটিতে সূর্যাস্তের আগমুহূর্ত থেকেই শুরু হয় রোজাদারদের আগমন। একে একে ভরে ওঠে মসজিদের সর্বপ্রান্ত। ধনী-গরিব ভেদা-ভেদহীনভাবে সারিবদ্ধ হয়ে বসেন সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ইফতারের সময় হলে সবার মধ্যে সুষম বণ্টন করা হয় খাবার বাক্সসহ নানা পানীয়। জানা যায়, এ মসজিদের ইফতার আয়োজনে প্রতিদিন ব্যবহার করা ১২ টন মুরগির মাংস, ছয় টন ভেড়ার মাংস। সঙ্গে খোরমা খেজুর ও সরবত তো আছেই।