আমাদের অহংকার করার মত একটি দেশ আছে। দেশটাকে ভালবাসুন। ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৮:৪৪,অপরাহ্ন ২০ ডিসেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ৪৮৫ বার পঠিত
জুয়েল সাদাত
গত ১৮ ডিসেম্বর সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার আপনা ইভেন্ট সেন্টারে সন্ধা ৭ টায় সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় উ্যসব ও নতুন কমিটির অভিষেক এ প্রধান অতিথির বক্তব্য্ বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান প্রধান অতিথিব বক্তব্য্ তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাস্ট্রের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ একটি অনুকরনীয় সংগঠন। আজ বিদায়ী সভাপতিকে যেভাবে সম্মান জানিয়ে বিদায় জানানো হচ্ছে, তা দেখার ও শেখার বিষয়। এই কমিটির উপদেষ্টায় যারা আছেন তারা দেশের গর্বিত সন্তান। আপনারা দেশটাকে ভালবাসবেন। বিদেশ থেকে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে একটি শক্তিশালী চক্র কাজ করছে, আপনারা সজাগ থাকবেন।
তিন পর্বের বিজয় উ্যসবের শুরুতে বিদায়ী সভাপতি জয়নাল চৌধুরীকে ক্রেষ্ট দিয়ে সভাপতিত্ব গ্রহন করেন নতুন সভাপতি কাজী আসিফ ইকবাল (সুকন) ।
মুল অনুষ্টানের শুরুতে বাংলাদেশের যুদ্ধের উপর ও ডিজিটাল বাংলাদেশের উপর ডকুমেন্টরী প্রদর্শন করা হয়। ছিল বাচ্চাদের চিত্রাংকন পণতিযোগীতা। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সেন্টু মহানগর আওয়ামী লীগের মুল আলোচনা পর্বের উপস্থাপনা করেন। প্রথমে জাতীয় সংগীত,কোরআন তেলাওয়াত ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণ করে নিরবতা পালন করা হয়। বিশেষ অতিথীর বক্তব্য্ মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী ইকবাল হায়দার বলেন, বিশ্বের একমাত্র জাতি আমরা ভাষার জন্য ও দেশের জন্য রক্ত দিয়েছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একাধিক গ্রন্থের লেখক উপদেষ্টা ডাক্তার নুরুল আমিন বলেন, আমাদের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ আজ আমেরিকার একটি ভাল সংগঠন। প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি হিসাবে গর্ব বোধ করি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য উপদেষ্টা ডাঃ মুরাদ খান ঠাকুর বলেন,বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জন নিয়ে গবেষনা চলছে। আমাদের বর্তমান সরকারের সুযোগ্য নেতৃত্বেই দেশ নানা সুচকে বিশ্বে সমাদৃত। উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা শামীম মৃধা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্বারা বর্তমানে সম্মানিত। তাদের সন্তানরা-ও সম্মান ও গর্ববোধ করেন, তার পিতার কারনে। মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুর পরও সম্মান পাচ্ছেন।
আরো বক্তব্য্ রাখেন সাবেক উপদেষ্টা মেহেদী বাবুল, ছাত্রনেতা যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উল্লাহ লিটন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক – কলামিষ্ট বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি জুয়েল সাদাত,সাংগঠনিক সম্পাদক বাহার হোসেন, সিনিয়র সভাপতি জাহাঙ্গির সরদার। ।
সভাপতির বক্তব্য্ কাজী আসিফ ইকবাল সুকন, বলেন আমরা সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার সকলকে দাওয়াত করেছিলাম সম্মিলিতভাবে বিজয উ্যসব পালনের। সবাই এসেছেন, আমরা ধন্যবাদ জানাই সকলকে। আমাদের আগামীতে আরো বড়ো পরিসরে বিজয় দিবস আয়োজনের সুযোগ থাকবে।
দ্বিতীয় পর্বে আনোয়ার হোসেন সেন্টু ও নাজিম উল্লাহ লিটনের সম্পদনায় বিজয় উ্যসবের ম্যাগাজিন “স্বপ্ন” এর মোড়ক উন্মোচন করেন আমন্ত্রিত অতিথি ও উপদেস্টারা। চম্যকার প্রচ্ছদের ৯২ পৃষ্ঠার তথ্যবহুল “স্বপ্ন” ম্যাগাজিন সকলের দৃস্টি কাড়ে।
বিজয় উ্যসবের আকর্ষনীয় শিশুদের উন্মুক্ত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্টানে ২৪ জন অংশগ্রহন করে। তাদের মধ্য সেরাদের বাছাই করে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রদান করেন মোহাম্মদ সফি, নাজিম উল্লাহ লিটন, কাজী আসিফ ইকবাল সুকন,মুরাদ হোসেন ।
সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ, বিজয় উ্যসবে দীর্ঘদিন সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের পেছনে ও কমিউনিটিতে নিবেদিত কাজ করার জন্য্ দুই জনকে কমিউনিটি এওয়ার্ড প্রদান করে। তারা হলেন ডেমোক্রেটিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এ কে এম হোসেন হিটু ও নোরেন হায়দার। তারা তাদের অনুভুতি ব্যাক্ত করে কমিউনিটির সকলকে ও সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগকে ১৭ তম বিজয় দিবস পালনের জন্য্ ধন্যবাদ জানান।
অনুস্টানে শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান “বঙ্গবন্ধুর আত্বজীবনী” গ্রন্থ সকলকে উপহার দেন।
বিজয় উ্যসবের মুল আকর্ষন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, নাজিম উল্লাহ লিটন। রোকশানা মির্জা দেশের গান দিয়ে শুরু করেন। তিনি একাধারে দশটি জনপ্রিয়্ গান পরিবেশন করেন। রোকশানার পার্ফমেন্স দর্শকদের আনন্দ দান করে।
রাত ১১ টায় মঞ্চে আসেন বাউল সম্রাট সফি মন্ডল। অসাধারন পরিবেশনায সফি মন্ডল মাতিয়ে রাখেন পুরো ১ ঘন্টা। চম্যকার গায়কী ভঙ্গি ও লোকজ পোষাকের সফি মন্ডল জনপ্রিয়্ লোকজ সংগীত পরিবেশন করেন। রাত বাড়তে থাকে দর্শকরা বসে গান শোনেন দেশের গান,মাটির গান, মুগ্ধতায় নাঁচতে থাকেন। দেশপ্রেমের ‘বাংলাদেশ ” পুরো মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।
চার শত নাগরিকদের ৫ ঘন্টা বিনোদন দিতে, নিজ আসনে খাবার পৌছে দেয়া থেকে নিরলসভাবে স্টেজ সাজানো, ম্যাগাজিন, অতিথিদের বরন তাদের হোটেল অপ্যায়ন থেকে শুরু করে মুল অনুস্টান মঞ্চ তৈরী করার পেছনে যারা কাজ করেছন তারা হলেন মুরাদ হোসেন, নাজিম উল্লাহ লিটন, আব্দুল জলিল,জুয়েল সাদাত, আনোয়ার হোসেন সেন্টু, মিজানুর রহমান সামশু,কাজী লোপা,রোকেয়া আকতার মিশু,আবু সাইদ, মোহম্মদ শফি,মিজান মোস্তফা সবুজ,জাহাঙ্গির সরদার,আলো আহমদ প্রমুখ।