তবে কেন বৈষম্যের দলিল?
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১২:৫৭,অপরাহ্ন ১২ জানুয়ারি ২০২২ | সংবাদটি ১৭০ বার পঠিত
সাজ্জাদ হােসেন
তোমার এ অপার রাজ্যে আমি যে নাহক নাগরিক
সেটা আমার চেয়ে বেশি আর কে জানবে?
শুধু জানি কেন, এই সত্য মানিও বিলক্ষণ।
মন যদিও মানে না তা এক রত্তি, এক মুহূর্তকাল।
কারণও আছে নিশ্চয়ই।
তুমিই আমাকে থাকতে দিয়েছ দিগন্ত প্রসারী প্রান্তর।
দিয়েছ তা বিনামূল্যে, বিশেষ ফরমানে।
দিয়েছ কুল-বংশ বিবেচনা না করেই।
ফসল ফলাব বলে দিয়েছ চাষের
প্রাধিকার–একেবারে বিনা খাজনায়।
দিয়েছ হালের গরু, গবাদিপশু।
মন্থন বাসনা নিবারনে দিয়েছ সমুদ্রের
ভাগ–মণিমুক্তাসহ।
আকাশ দিয়েছ এক অবিমিশ্র
অনুরাগের–মেলে দিতে ইচ্ছার ডানা।
সুরভির স্রোত দিয়েছ বায়ুমণ্ডল
ভরে–অমৃত সোহাগে গা ভাসাব বলে।
বৈধ প্রজার সঙ্গে কোনোই পার্থক্য
রাখনি আমার।
তবে কেন বৈষম্যের দলিল দেখাও আমায়?
কেন মনে করিয়ে দাও আমি অচ্ছুত, অভাজন?
কেন ফের অাইন সংশোধন, কেন ফের সতর্কীকরণ?
নিরুপদ্রব ভোগদখলের অভ্যস্ততায়
আমিও তো এতদিনে পেয়ে গেছি সবকিছুর
নিরানব্বই বছরের ইজারা–কর্নওয়ালিশের
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।
চল তবে পুড়িয়ে দিই বিভাজন রেখা,
মন ছুঁয়ে দেখ তাতে কী দলিল লেখা।
[ ঢাকা, বাংলাদেশ / সাজ্জাদ হোসেন ]