- জাতীয়
- মিশিগানে “কনসুলেট সার্ভিসে” ওয়াশিংটন কনসুলেট বিব্রত
মিশিগানে “কনসুলেট সার্ভিসে” ওয়াশিংটন কনসুলেট বিব্রত
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৮:০৩,অপরাহ্ন ২৪ আগস্ট ২০২২ | সংবাদটি ১৬৭ বার পঠিত
জুয়েল সাদত
আমি অনেকদিন থেকে আমি মিশিগান এ কনসুলেট এর স্থায়ী অফিসের জন্য কাজ করছি।
কাজ অনেকটা এগিয়েছে। মিশিগান বাসী দেড় কোটি ডলার রেমিটান্স পাঠান মাসে , সেই মিশিগানে মোবাইল কনসুলেট আসে বছরে ২ বা আরো বেশী।
এবার তিন দিনের জন্য কনসুলেট এসেছিল। চারটি সংগঠন স্টেট আওয়ামীলীগ, মহানগর আওয়ামী আওয়ামী, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ( নবী গ্রুপ) ,বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ১৯ শে আগস্ট থেকে ২২ আগষ্ট পযন্ত কনসুলেট এনেছিল। এখানে কনসুলেট আসার আগে কনসুলেট আসা না আসা নিয়ে ওয়াশিংটন এ অনেকে যোগাযোগ করেন। আমার সাথে ওয়াশিংটন কনসুলেট একজন সোর্স এর যোগাযোগ হয়েছিল। তারা জেনেছিলেন মিশিগান এ কমিটিনিউনিটিতে ঐক্য নাই। কিন্তুু মিশিগানে ৮০ থেকে ৯০ হাজার বাংলাদেশি থাকেন। যাদের বেশীরভাগই সবুজ পাসপোর্টধারী।
শত শত হাজার হাজার নাগরিক কনসুলেট সুবিধা পাবার দাবী রাখেন। অনেক খারাপ পরিবেশের পরও ফাষ্ট সেক্রেটারি স্ব ঊদ্যেগে চ্যালেঞ্জ হিসাবে মেশিন রেডিবমল মেশিন নিয়ে এসেছিলেন। কতটা সৌভাগ্যবান ছিলেন মিশিগান বাসী।
শুক্রবার অনেকেই ভাল সেবা পান, শনিবার ও শত শত নাগরিক সেবা পেয়েছিলেন। শনিবারে কিছুটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল, যারা দায়িত্ব পালন করছিলেন তাদের সাথে মাঝারি মানের কিছু নেতাদের বাক বিতণ্ডা ঘটে। কনসুলেট এ ৮ জন স্টাফ ছিলেন ফাষ্ট সেক্রেটারি সহ। যারা দেশের মানুষজনদের সেবা দেবার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ৪ টি সংগঠনের ভলান্টিয়ার রাও ভাল কাজ করছিলেন।
ভলান্টিয়াররা অনেকে নিজের কাজ ফেলে হেল্প করেন সদকাহ জারিয়া হিসাবে। সেখানে ছোট খাট ভুল হয়ে থাকে সিরিয়াল নিয়ে।
শনিবারের উত্তেজনা বেশী দুর এগুতে পারেনি।
রোববার সারাদিন কনসুলেট সেবা চালু ছিল। এখানে বলে রাখি ৯ টা থেকে ৫ টা সময় থাকলেও মিশিগানবাসীর চাহিদার কারনে তারা রাত ৯ টা পযন্ত সেবা দিয়েছেন।
সবই ঠিক ছিল রোববার রাতে কনসুলেট এর অফিসাররা ডাউনটানে বেড়াতে যান, সেখানে মিশিগানের বেশ কয়েকজন কমিউনিটির নেতা তাদের সাথে অসদাচরণ করেন। তাদেরকে অপমান করেন, তারপর ওপর মহলের নির্দেশে রাতেই তারা মিশিগান ত্যাগ করেন। কি রকম আচরন বা অশোভনীয় ঘটনা ঘটেছিল লিখতেও লজ্জা করছে।
কনসুলেট এর অফিসারার ডিপলোমেটিক মর্যাদার, তারা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। তারা নিরাপদ মনে করেন নি, তাই সোমবার কনসুলেট সেবা বন্ধ ছিল। এই পুরো বিষয়টি মিশিগানে টক অন দ্যা টাউন । এব্যাপারে কমিউনিটি জুড়ে একে অপরকে দোষারোপ চলছে। অনেকেই মনে করেছেন শনিবারের ভুল বোঝাবুজিতে কনসুলেট চলে গেছে। আসল ঘটনা কনসুলেট এর অফিসারারা মিশিগানে নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন। অপ্রিয় সেই ঘটনাটা তাদেরকে বিব্রতভাব করে। আয়োজকরা সেই ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্র জড়িত না। তাদের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল, তারা সেটা করেও ছিলেন। তিনদিনে হাজার খানেক সেবা নিয়েছেন। আয়োজকরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আয়োজকরা পুরো বিষয়টি কমিউনিটিকে অবহিত করেছেন। তারা দাবী করেন ২০১৫ সালেও একই গোষ্ঠী এরকম কাজ করেছিল এবং এরাই শনি ও রোববার আবার গন্ডগোল করেন। কমিউনিটি জুড়ে নানা গুঞ্জন চলছে। সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজকরা সবাই উপস্থিত থেকে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ৪ টি সংগঠনের ৮ জন দায়িত্বশীল সাথে সাথে সংবাদ সম্মেলনে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তারা জানান কনসুলেট নিয়ে আর্থিক লেনদেন একটি অপপ্রচার মাত্র । কনসুলেট এর আয়োজকদের সফলতা নিয়ে একটি গোষ্টি কমিউনিটিকে বিভাজনে ফেলেছে। মিশিগানে সংগঠন ৬০/৭০ টি, নেতৃত্বগুণ এর অভাব, সহনশীলতার অভাব দীর্ঘদিনের। তিনদিনে হাজারেরর উপর নাগরিকরা সেবা নিয়েছেন নতুন পাসপোর্ট সহ নানা সুবিধে পেয়েছিলেন।
কমিউনিটির স্বল্প কয়েকজনের হীনমন্যতা, জেলাসী ও নেতৃত্বগুনের অভাবে কমিটি অনেক পিছিয়ে গেল। এই একই কারনে স্বায়ী কনসুলেট আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
আর এ সপ্তাহের ঘটনায় ওয়াশিংটনের গুডবুকে মিশিগান নাই। আর অনির্দিষ্টিকালের জন্য মোবাইল কনসুলেট বন্ধ হয়ে গেল। যে বা যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী কমিউনিটির কাছে তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের পরিবার পরিজন এর খেসারত দিবেন।
আয়োজকদের অন্যতম ষ্টেট আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও কমিউনিটির অন্যতম ফারক আহমদ চান জানান, যারাই বুঝে না বুঝে এরকম অপ্রিয় ঘটনা ঘটিয়েছেন, তারা কমিউনিটির কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। কনসুলেট সেবাটা আমরা তিনদিনে অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। আর কবে সেটা হবে বলা যাচ্ছে না। কেউ এটার সমাধান দিতে পারবেন না। ৮০/৯০ হাজার মিশিগানবাসীর ভোগান্তির শেষ রইল না। তিনি আরো জানান, কনসুলেট এর ষ্টাফরা বাসে করে দুটো মেশিন রেডিবল পাসপোর্ট মেশিন নিয়ে এসেছিল মিশিগানের নাগরিকদের সেবা দিতে। মিশিগানবাসীর চাহিদা দেখে কনসুলেট আরেকবার আসার চিন্তা করেছিল।
সাধারন নাগরিকদের সাথে নানা মাধ্যমে কথা বলে জানা গেল, মিশিগানে অনেক বাংলাদেশী থাকেন,তাদের কষ্ট করি নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন যেতে হয়। হাতে গোনা কয়েকজনের কারনে পুনরায় কনসুলেট পেতে মিশিগানের অনেক বেগ পেতে হবে। তবে মিশিগান থেকে যেহেতু অনেক অনেক টাকা আয় করতে পারে কনসুলেট তাহলে তারা স্পেশাল সিকিউরিটি নিয়ে পুনরায় আসবেন, এ দাবী মিশিগানবাসীর।
মিশিগানের সুশীল সমাজের দাবী, মিশিগান কনসুলেট এর একটি বড় রেমিটান্স আয়ের জায়গা,পাশাপাশি ৮০/৯০ নাগরিকরা বাস করবেন ৩/৪ জনের খারাপ আচরনকে পাত্তা না দিয়ে আগামী নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে ও যেন কনসুলেট চালু হয়। তারা এও জানান সরকার যেন স্থায়ী কনসুলেট দেবার চিন্তা করেন।